ABOUT US

চকরিয়া উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক ব্যক্তি উপসাগরীয় দেশ সৌদিআরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, ওমান এবং মালেশিয়ায় সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং চাকুরি করছেন। চকরিয়ার প্রবাসীরা মূলত অধিকাংশ ব্যবসায়ী। উল্লেখ্য যে উপসাগরীয় দেশের নাগরিক আরবিদের বিশেষ ধরনের পোশাক আবায়া, সেলা, কান্দোরা,জালাবায়া, গাতারা (আরবী মহিলাদের বিশেষায়িত পোশাক) উৎপাদন, বাজারজাত, বিপণন ইত্যাদি একচ্ছত্র ভাবে চকরিয়া প্রবাসীরা নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। এ ছাড়াও গ্রোসারী, রেস্টুরেন্ট, কাঁচাবাজার সহ আরও অনেক ধরনের ব্যবসায় চকরিয়ার প্রবাসীরা সফলতার সহিত এগিয়ে যাচ্ছেন। ফলে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা দেশে প্রেরণ করে দেশের জাতীয় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করছেন। স্থানীয় চকরিয়া ও কক্সবাজারের ব্যাংক থেকে তথ্য নিলে দেখা যাবে দেশের উপজেলা ভিত্তিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরনকারীদের মধ্যে চকরিয়া উপজেলা শীর্ষে রয়েছেন। তবে চকরিয়ার প্রবাসীরা দেশের অর্থনীতিতে, আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এত অবদান রাখার পরও সংগঠিতভাবে কাজ করার জন্য স্বেচ্ছাসেবী কোন সংগঠন প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ ইতিপূর্বে গ্রহণ করা হয়নি। সম্প্রতি উপসাগরীয় দেশের চকরিয়ার প্রবাসীরা বিশ্বের যে সব দেশে চকরিয়া প্রবাসীরা রয়েছেন বা প্রবাস ফেরত হয়ে দেশে অবস্থান করছেন তাদেরকে নিয়ে প্রবাসীদের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতা, যোগাযোগ, ভ্রাতৃত্ব ও ঐক্যের লক্ষ্যে চকরিয়া প্রবাসীদের নিয়ে একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন “চকরিয়া প্রবাসী ইউনিয়ন” (প্রবাসী সেবা মূলক সামাজিক সংগঠন) গঠন করা হয়।
আমাদের প্রবাসীরা কঠোর পরিশ্রম ও মেহনতের বিনিময়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, শরীরের বিন্দু বিন্দু রক্তের বিনিয়োগ করে অর্থ উপার্জন করেন। আর সেই অর্থ বাংলাদেশে আসলে তার পরিচয় হয়ে যায় রেমিটেন্স। সেই রেমিটেন্সকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ সরকার দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখে, তার বিনিময়ে প্রবসীদের সম্মানীত করতে বাংলাদেশ গণপ্রজাতন্ত্রী সরকার তাদের নাম দিয়েছে রেমিটেন্স যোদ্ধা।
সেই রেমিটেন্স যুদ্ধাদের পাশে থেকে সমগ্র চকরিয়া বাসীর সেবা প্রদান করাই এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।